Bangladesh :verified:​ · @Bangladesh
77 followers · 140 posts · Server qoto.org

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ি নয়াবস্তি এলাকায়, ছোট একটা বাচ্চা উঠানে একাএকা আপন মনে খেলছে। বাচ্চাটি নতুন হাঁটা শিখেছে। দু' পা হেঁটেই পরে যাচ্ছে আবার উঠে দাড়াচ্ছে- আবার পড়ে যাচ্ছে। উঠা আর পড়ে যাওয়ার খেলা খেলে শিশুটি বেশ মজা পাচ্ছে। এই ফুটফুটে বাচ্চাটির ডাক নাম পুতুল। দেশ ভাগের দুই বছর আগে পুতুলের জন্ম। তিন বোন এবং দুই ভাইয়ের মধ্যে পুতুল তৃতীয়। তাদের বাবা ইস্কান্দর মজুমদার একজন ব্যবসায়ী। ইস্কান্দর মজুমদার ১৯১৯ সালে ফেনী থেকে জলপাইগুড়ি যান। পুতুলের স্কুল জীবন শুরু হয় পাঁচ বছর বয়সে দিনাজপুরের মিশন স্কুলে। এরপর দিনাজপুর গার্লস স্কুলে ভর্তি হন। এই স্কুল থেকেই অস্টম শ্রেনী পাশ করেন পুতুল।

১৯৬০ সালের আগস্ট মাসে পুতুলের বিয়ে হয়- নামের এক হাসি খুশি তরুনের সাথে। পুতুলের বয়স তখন সতের বছর বয়স। রহমানের ডাক নাম কমল। জিয়া তখন ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন। ডিএফআই এর অফিসার হিসাবে তখন দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন। পাঁচ ভাইদের মধ্যে ছিলেন দ্বিতীয়। তাঁর পিতা কলকাতা শহরে এক সরকারি দপ্তরে রসায়নবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর শৈশবের কিছুকাল বগুড়ার গ্রামে ও কিছুকাল কলকাতা শহরে অতিবাহিত হয়।

জিয়াউর রহমান পশ্চিম থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালে দেশে ফিরে আসার পর তাকে (তদানীন্তন মেজর) অষ্টম রেজিমেন্টের দ্বিতীয়- অধিনায়ক হিসেবে চট্টগ্রামে বদলি করা হয়। স্বভাবতই জনসাধারণের কাছে জিয়াউর রহমান নামটি অপরিচিত ছিল। কিন্তু তিনি একজন তাৎক্ষণিক জাতীয় ব্যক্তিত্বে রূপান্তরিত হলেন, যখন তিনি ১৯৭১ এর ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের বেতারকেন্দ্র থেকে রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের ঘোষণা করলেন।

তাঁর ঘোষণাটি ছিল এই রকমঃ ''আমি মেজর জিয়া, বাংলাদেশ লিবারেশন আর্মির অস্থায়ী সর্বাধিনায়ক, এতদ্বারা শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। ‘‘আমি আরও ঘোষণা করছি, আমরা ইতিমধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের অধীনে একটি সার্বভৌম ও বৈধ সরকার গঠন করেছি। এই সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় আইন এবং শাসনতন্ত্র মেনে চলায় অঙ্গীকারাবদ্ধ। নতুন গণতান্ত্রিক সরকার আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে জোট নিরপেক্ষ নীতির প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ। এ সরকার সকল দেশের সাথে বন্ধুত্বের প্রত্যাশী এবং আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য চেষ্টা করবে। আমি সকল সরকারের কাছে আবেদন করছি তারা যেন বাংলাদেশে নৃশংস গণহত্যার বিরুদ্ধে তাদের নিজ নিজ দেশে জনমত গড়ে তোলেন। ‘‘শেখ মুজিবুর রহমানের অধীনে গঠিত বাংলাদেশের সার্বভৌম ও বৈধ সরকার এবং এই সরকার পৃথিবীর সকল গণতান্ত্রিক দেশের স্বীকৃতি লাভের অধিকার সংরক্ষণ করে।’’

একটা কথা উল্লেখ করতে চাই, বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হিসেবে দলে যোগ দেবার পর থেকে মোট চার বার বেগম খালেদা জিয়া গ্রেফতার হন। সর্বশেষ তিনি ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে তার ৫ বছরের সশ্রম হয়। আমি সাধারণত সকল নারীকে সম্মান করি। হোক সে আমার বাসার বুয়া বা গার্মেন্সে চাকরী করা মেয়ে। অথবা শেখ কিংবা খালেদা জিয়া। আমি এক অফিসে চাকরী করতাম। সেই অফিসে এক মহিলা আমার চাকরী খেয়ে ফেলেছে। সেই মহিলার প্রতি আমার কোনো রাগ নেই। এই সমাজে বহু দুষ্ট নারী আছে। তাঁরা নানান রকম অপরাধ করে। তবু আমি এদের উপ রাগ করি না। আমি বিশ্বাস করি নারীরা হচ্ছে ধরনী। তাদের মাঝেই আমাদের বসবাস। তাঁরা না বুঝেই অনেক রকম ভুল করে ফেলে, অনেক রকম অন্যায় করে ফেলে।

আমাদের পাশের বাসার এক মহিলা তার শ্বাশুড়িকে ঝাড়ু দিয়ে মারতে গিয়েছিলো। ঘটনাটা সংক্ষেপে খুলে বলি। রুবি ভাবী শিক্ষিত মানুষ এবং আধুনিক। হঠাত করে একদিন রুভি ভাবী খুব ধার্মিক হয়ে যায়। আগের মতো গান বাজনা নিয়ে মেতে থাকেন না। জন্মদিন পালন করেন না। সারাক্ষণ ধর্মকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আমি ভাবিকে কোনোদিন দেখি নাই, তারা স্বামীকে সালাম দিতে। এখন ভাবী প্রতিদিন তার স্বামী অফিস থেকে ফিরলেই সালাম দেন। এমনকি স্বামীর সাথে ফোনে কথার বলার সময়ও সালাম দেন। কিন্তু আগে দিতেন না। যাইহোক, সালাম দেওয়া ভালো। কিন্তু আমি জানি যারা হঠাত করে খুব ধার্মিক হয়ে যায়, তাঁরা ভয়ঙ্কর হয়ে যায়। রুবি ভাবী আমার সামনেও হিজাব পড়েন। একসময় এই রুবি ভাবী আর আমি অনেক আড্ডা দিয়েছি।

রুবি ভাবীর শ্বাশুড়ি অন্যান্য শ্বাশুড়িদের মতোই। একদিন এই ধার্মিক রুবি ভাবীকে দেখি ঝড়ু দিয়ে শ্বাশুড়িকে মারতে যাচ্ছেন। আমি সামনে গিয়ে দাঁড়াই। ভাবীর হাত থেকে ঝাড়ু কেড়ে নিই। শ্বাশড়ি সমানে মুখ খারাপ করে কথা বলে যাচ্ছে। রুবি ভাবীও সমানে মুখ খারাপ করে কথা বলে যাচ্ছে। আমি দুজনেরর কাউকেই থামাতে পারছি না। তাঁরা দুজনেই নারী। আমি তাদের সম্মান করি। আপন কফি হাউজের সামনে যে মহিলাটা রাস্তার মোড়ে তার তিন বছরের বাচ্চাকে নিয়ে রাস্তায় চা সিগারেট বিক্রি করে। আড়ালে ইয়াবা বিক্রি করে- আমি সেই দরিদ্র অসহায় মহিলাকেও সম্মান করি। আমি একা ভালো থাকতে চাই। আমি সকলকে নিয়ে ভালো থাকতে চাই। নারীরা আপনাতেই খারাপ হয়ে যায় না। এজন্য দায়ী পুরুষরা।

নারীদের এমনিতেই দুঃখ কষ্টের শেষ নেই। বিশেষ করে দরিদ্র দেশের মেয়েরা খুব দুঃখী হয়। তাঁরা ভাতে দুঃখী, কাপড়ে দুঃখী। প্রেম ভালোবাসায় দুঃখী। স্বামী দিয়ে দুঃখী। ছেলেমেয়ে দিয়ে দুঃখী। ধর্ম নারীদের কোনঠাসা করে রেখেছে। নারীদের দুঃখের শেষ নেই। তাই নারীদের আমি দুঃখ দিতে চাই না। অসম্মান করতে চা না। তাদের সম্মান করতে চাই। ভালোবাসতে চাই। হোক সে রাজনীতিবিদ খালেদা বা হাসিনা। রুবি ভাবী অথবা তার শ্বাশুড়ি। আমাদের বাসায় কাজ করে যে বুয়া তাকেও আমি সম্মান করি। আমি চাই পৃথিবীর সমস্ত নারীরা ভালো থাকুক, সুখে থাকুক, আনন্দে থাকুক। মায়ের পেট থেকে একটা অবুঝ নাদান শিশুর জন্ম হয়। তার কোনো পাপ নেই। এই সমাজ তাকে মন্দ বানায়। লোভী বানায়। চতুর বানায়। বদমাশ বানায়।

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

#রহমান #জার্মানি #বঙ্গবন্ধু #শেখ #মুজিবুর #স্বাধীনতা #সরকার #bengali #dhaka #বাংলা #ঢাকা #কমল #জিয়াউর #ইস্ট #বেঙ্গল #কালুরঘাট #কারাদণ্ড #হাসিনা #bangladesh #bangla #বাংলাদেশী #bangladeshi #kolkata #বাংলাদেশ #বাঙালী #কলকাতা

Last updated 2 years ago