Bangladesh :verified:​ · @Bangladesh
59 followers · 126 posts · Server qoto.org

জানেন কি ভারত উপমহাদেশের প্রথম কারা?

উপমহাদেশে ফারগানা থেকে তৈমুরী যুবরাজ বাবর এসে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার বহু আগে থেকেই 'যুদ্ধ ' ছিলো। মুঘলরা হাতির সাহায্যে হাতির পিঠে ব্যবহার করলেও এই রীতি প্রচলিত হয়েছিলো বাংলা সালতানাতে।

সেই থেকে বাংলার হাতি হিন্দুস্তানের বিন্ধ্যাচলের হাতির চাইতে বিখ্যাত ও অধিক শক্তিশালী। যার প্রমাণ পাওয়া যায় সাম্রাজ্যের সময় ভ্রমণে আসা আব্বাসীয় খিলাফতের আরব পর্যটক সুলায়মানের বর্ণনায় ও

পাল আমলের বিভিন্ন তাম্রশাসনে। বাঙালি পাল সম্রাট দেবপালের ১,০০,০০০ বর্মাবৃত রণহস্তীর ফৌজ ছিলো। সেসময় প্রাগজ্যোতিষরাজ হর্জর করতোয়া নদীর সীমানা অতিক্রম করে বাংলায় বিস্তার করলে ক্রুব্ধ হয়ে দেবপাল ঘোষণা করেন এবং সেনাপ্রধান জয়পালকে নির্দেশ দেন প্রাগজ্যোতিষরাজ কে ধরে আনার। বিশাল হস্তীবাহিনী নিয়ে জয়পাল রওনা হলেন হর্জর কে ধরতে। এই বিশাল রণহস্তীর কথা শুনেই হর্জর প্রাণভয়ে পালালেন তিব্বতে, পাল বাহিনীর পদানত হলো । দেবপাল ক্রুব্ধ হয়ে পুনরায় নির্দেশ দিলেন-

" যদি সে তিব্বতে (কম্বোজরাজ্য) পালিয়ে যায় তাকে ধরে নিয়ে এসো। কম্বোজরাজ যদি তাকে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাকে হাতির পায়ের নিচে মাড়িয়ে দাও। যদি চীনে পালিয়ে যায় সেখান থেকেও তাকে ধরে আনো!"

বিশাল বাহিনী নিয়ে যাত্রা করলেন তিব্বতের দিকে..যথারীতি কম্বোজরাজ বাধা হয়ে দাঁড়ালেন..এবং বাংলার হস্তীবাহিনীর সাথে টিকতে না পেরে প্রাণভয়ে আশ্রয় নিলেন চীনে। শুধু তাই নয় যে হর্জরের জন্য এত কিছু, সেও আশ্রয় নিলো চীনে।

সম্রাট দেবপালের শক্তির বর্ণনা দিয়ে হর্জরকে তার হাতে তুলে দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে চীন সম্রাটকে লিখলেন জয়পাল। প্রমাদ গুনলেন চীন ..বাঙালির শৌর্যের প্রতীক সেই চিঠি আজও সংরক্ষিত বেইজিংয়ের জাদুঘরে..

• হাতির সাহায্যে প্রথম ট্যাঙ্ক তৈরির ধারণাটি ছিলো সুলতান শাহর।

চট্টগ্রামের পার্বত্য অরণ্য, ছিলো বাংলার হাতির মূল কেন্দ্র। ইলিয়াস শাহ্ হাতির পিঠে কামান বসিয়ে সর্বপ্রথম "পিল মিনার" নামক এই অভিনব ট্যাংক প্রস্তুত করেন। হাতির পিঠে একজন সৈন্য ও চালনা করার জন্য তার সাথে থাকতো একটি 'হালকা কামান'। এই কামান একদালার মহাযুদ্ধের সময় বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলো..

বাংলা সালতানাতের শেষ শাহর ছিলো ৩৬০০ যুদ্ধহস্তী (প্রতিদ্বন্দ্বী বাদশাহ আকবরের ছিলো ৫০০০ যুদ্ধহস্তী) হাতির সাহায্যে যুদ্ধবিদ্যায় বাংলার সুলতানদের বীরত্ব ও দূরদর্শিতা প্রশংসনীয়।

বাংলা কামান ব্যবহারের প্রমাণ সম্পর্কিত তথ্যসূত্র:-

(১) 'তুযুক-ই-বাবরীতে' সম্রাট বাবর ১৫২৯ ঈসায়ী-অব্দে বাংলা সালতানাত ও বিতাড়িত আফগান ফৌজের সাথে সাম্রাজ্যের (ঘাগরার যুদ্ধ) বাংলার সৈনিকদের কামান ব্যবহারের পারদর্শিতার কথা তুলে ধরেছেন।

(২) 'শূন্যপুরাণ'- রামাই পণ্ডিত

উড়িষ্যা বিজয়ে বাঙালি সৈন্যদের মাথায় টুপি, মুখে এক আল্লাহর নাম ও হাতে কামান শোভা পাওয়ার কথা বলা আছে..

(৩) হাজারদুয়ারী প্যালেসে সংরক্ষিত তোপ-ই-বাচ্চাওয়ালীর প্রত্নপ্রমাণ

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

#ট্যাংকের #আবিষ্কারক #ভারতীয় #ট্যাংক #যুদ্ধ #সম্রাট #ত্রিপুরা #দাউদ #dhaka #bangladeshi #kolkata #বাংলাদেশ #বাঙালী #কামান #পাল #গৌড় #জয়পাল #ইলিয়াস #সিলেট #শাসক #বাদশাহ #সালতানাতে #মুঘল #মুসলিম #bangla #বাংলায় #প্রাচীনকাল #রাজ্য #আসাম #চিঠি #যুদ্ধে #bangladesh #bengali #বাংলা #ঢাকা #কলকাতা #বাংলাদেশী

Last updated 1 year ago