Bangladesh :verified:​ · @Bangladesh
59 followers · 124 posts · Server qoto.org

লুটপাটের ছোট্ট একটু ধারণা...

ভারতের সাবেক মন্ত্রী, , জাতিসংঘের সাবেক কূটনৈতিক এবং লেখক শশী থারুর ‘এন এরা অব ডার্কনেস (২০১৬)’ নামে একটি বই লিখেছেন। বইখানা পরে থেকে ‘ইনগ্লোরিয়াস এম্পায়ার—হোয়াট দি ব্রিটিশ ডিড টু (২০১৭)’ নামে প্রকাশিত হয়। তাঁর মতে, ভারতবর্ষ শাসনকালে ব্রিটিশরা যা করেছিল তা রীতিমতো দানবীয় অপরাধ। ব্রিটিশরা আসার আগে এখানকার অর্থনীতির আয়তন বিশ্ব অর্থনীতির মোট ২৩ শতাংশ ছিল। ব্রিটিশরা এখান থেকে যাওয়ার সময় যার পরিমাণ ৪ শতাংশে নেমে এসেছিল। ব্রিটিশরা ভারতে আসার আগে বিশ্বের বস্ত্রশিল্পের মোট ২৭ শতাংশ হতো ভারত থেকে, যা ব্রিটিশ শাসনের সময়কালে ২ শতাংশে নেমে গিয়েছিল। ব্রিটিশ শাসন আমলে তাদের নীতি প্ররোচিত প্রায় ১৫ থেকে ২৯ মিলিয়ন ভারতীয় মারা গেছেন।

শশী থারুর আরও লিখেছেন, ব্রিটিশরা উপমহাদেশে রেলের প্রচলন করেছিল তাদের লাভের জন্য। ভারতের লাভের জন্য নয়। ১৮৪৩ সালে গভর্নর জেনারেল লর্ড হার্ডিঞ্জ এবং পরে ১৮৫৩ সালে লর্ড ডালহৌসি এই যুক্তি দেখান যে রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত করতে পারলে ভারতে ব্রিটিশ পণ্যের প্রবেশ ও বাজারজাত সহজ হবে। সেই সঙ্গে ভারতবর্ষ থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করে ব্রিটেনের শিল্পকারখানাগুলোতে পাঠানো যাবে। এই রেললাইন নির্মাণেও ছিল চুরি ও লুণ্ঠন। বার্ষিক ৫ শতাংশ নিশ্চিত লাভে রেললাইন তৈরির প্রকল্পে টাকা খাটিয়ে ব্রিটিশ মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা প্রচুর অর্থের মালিক হন। সেই সময় ভারতে প্রতি মাইল নির্মাণে খরচ হয়েছিল ১৮ হাজার পাউন্ড। অথচ আমেরিকাতে তখন প্রতি মাইল নির্মাণে খরচ হয়েছিল ২ হাজার পাউন্ড।

ব্রিটিশ কলাম্বিয়া থেকে গত বছর প্রকাশিত ভারতীয় অর্থনীতিবিদ উষা পাটনায়েকের গবেষণায় দেখা যায় যে ১৭৬৫ থেকে ১৯৩৮ সালের মধ্যে ব্রিটিশরা আত্মসাৎ করেছে প্রায় ৭৫ ট্রিলিয়ন ডলার। আর এই অর্থ পাচার হয়েছিল বাণিজ্যের আড়ালে। অর্থের এই অঙ্ক বর্তমানে ব্রিটেনের মোট জিডিপির ১৭ গুণ বেশি। ব্রিটিশ শাসনামলে ভারতীয়দের মাথাপিছু আয় বাড়েনি বরং কমে গিয়েছিল। ১৮৭০ থেকে ১৯২০ সালের মধ্যে ভারতীয়দের গড় আয়ুকাল কমে গিয়েছিল এক–পঞ্চমাংশ।

তারা যখন শোষণের কারণে প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে তখন খুবই নিষ্ঠুর আচরণ করেছে। লাখ লাখ মানুষ করেছে। আসলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য সৃষ্টি হয়েছিল নিজ দেশ ব্রিটেনকে সমৃদ্ধ করার জন্য। কোনো মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে নয়। তাই দেশগুলোকে লুণ্ঠন, অত্যাচার, বর্ণবাদ, দাসপ্রথা, নিপীড়ন, শোষণ, ও মুনাফাখোর ব্যবসায়ী, ব্যক্তিগত লোভ–লালসা, জাতিগত বিভেদ এসব অনেক কিছুই মোকাবিলা করতে হয়েছে।

আবার শশী থারুরের কথায় ফিরে আসি। তিনি মনে করেন, ব্রিটেনের উপনিবেশবাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জন্য তাদের (ব্রিটেন) উপমহাদেশকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। তিনি মূলত কোনো আর্থিক ক্ষতিপূরণের কথা বলেননি। তাঁর দাবি, ব্রিটেনের উচিত তার অতীতের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাওয়া। তিনি এটাও মনে করেন, বর্তমান ব্রিটেন তার অতীতের কৃতকর্মের জন্য দায়ী নয়। তাই তাঁর মতে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি বর্তমান ব্রিটেন নীতিগতভাবে মেনে নিলেই যথেষ্ট।

সাম্রাজ্যবাদের জন্য ব্রিটেনের এই ক্ষমা চাওয়ার দাবি অনেক পুরোনো। কিন্তু ব্রিটেন বরাবরই তা উপেক্ষা করে এসেছে। ২০১৩ সালে ব্রিটিশ ডেভিড ক্যামেরন অমৃতসার গণহত্যার স্থান পরিদর্শনকালে ব্রিটিশদের হুকুমে হাজারো ভারতীয় হত্যার বিষয়টিকে তিনি লজ্জাজনক ঘটনা বলে অভিহিত করলেও চাওয়ার বিষয়টি তিনি প্রত্যাখ্যান করেন।

চ্যান্সেলর থাকাকালে আরেক সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন বলেছিলেন, ব্রিটেনের উপনিবেশবাদের জন্য ক্ষমা চাওয়ার দরকার নেই। বরং ব্রিটেনের উচিত স্বাধীনতা এবং সহনশীলতার বিষয়ে ব্রিটিশ মূল্যবোধের বিষয়টিকে প্রচার করা। আবার অনেকেই বলেন , কাল ও পাত্রভেদে সব সাম্রাজ্যবাদের ধরন একই। ব্রিটিশরাও ৪০০ বছর রোমান দ্বারা শাসিত হয়েছে। তাই বলে তারা রোমানদের কাছে এই রকম কিছু দাবি করেনি।

রাশিয়ান লিও তলস্তয় একবার মাহাত্মা গান্ধীকে দেওয়া একটি চিঠিতে আমাদের এই উপমহাদেশে ব্রিটিশ উপনিবেশ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, তিনি ভেবে অবাক হন যে কীভাবে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করতে এসে লুটপাট আর শোষণে জড়িয়ে গেল। তিনি আরও লিখেছিলেন, এটি হয়তো সম্ভব হয়েছে মানবতার মধ্যে নিহিত ভালোবাসাকে সম্পূর্ণভাবে হৃদয়ঙ্গম না করার কারণে। হয়তো বিষয়টি সেটাই। খোদ ব্রিটেনের সাধারণ জনগণ বা এখনকার সাধারণ জনগণ উপনিবেশবাদের সঠিক ইতিহাস জানলে বিষয়টি হয়তো সানন্দে গ্রহণ করবে না।

(-২১ সালে প্রকাশিত একটি আর্টিকেল হতে সংগৃহীত।)

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

#ব্রিটেন #ইন্ডিয়া #রপ্তানি #দুর্ভিক্ষে #ভারতবর্ষকে #বৃটিশ #রাজনীতিবিদ #উপনিবেশ #ভারত #স্থান #লেখক #তৎকালীন #bangladesh #bangla #bengali #dhaka #bangladeshi #kolkata #বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা #রেললাইন #ইউনিভার্সিটি #হত্যা #লোভী #প্রধানমন্ত্রী #ক্ষমা

Last updated 2 years ago

Bangladesh :verified:​ · @Bangladesh
53 followers · 34 posts · Server qoto.org

নাম: পঞ্চতন্ত্র
লেখক: সৈয়দ মুজতবা আলী

সারা দুনিয়া যেন ভ্রমণ করে আসলাম দুই খন্ডের পঞ্চতন্ত্র পড়ে।

রম্যরচনায় যার মৌলিক অবদান সে এবং রম্যরচনায় একমাত্র সেরা বই ''। কী নেই এই বইতে!! সাহিত্যের প্রতিটি শাখার স্বাদ পাবে পাঠক এই বই পড়ে।

বহুভাষাবিদ, তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের গবেষক, কবিগুরুর অনুরাগী, চরম বিনয়ী, যে আমাদের বিশ্বের নাগরিক করে তুলেছে, বহুভাষা শিখতে অনুপ্রাণিত করেছে সে আমার প্রিয় সৈয়দ মুজতবা আলী।

আমাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করেছে তার লেখা, প্রকৃত সুখ কাকে বলে তা পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে বহুভাষা শেখার অনুপ্রেরণা একমাত্র তার লেখা থেকে পেয়েছি। এখন আমার জীবনের দ্বিতীয় সেরা শখ শেখা। ভাষা শেখার মত দুর্বোধ্য বিষয়কে আমার জন্য সরল করে দিয়েছে সৈয়দ আলী।

আমি আজীবন কৃতজ্ঞ বাংলা সাহিত্যের ৫ জন লেখকঃ সৈয়দ মুজতবা আলী, , রায়, এবং আজাদ এর প্রতি। উনারা আমাকে চরম অন্ধকার থেকে বের করে আলোকিত, পুলকিত করছে প্রতি প্রাতে সূর্যের মতো।

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

#মুজতবা #লেখক #বিভূতিভূষণ #সত্যজিৎ #সুনীল #গঙ্গোপাধ্যায় #হুমায়ুন #বই_রিভিউ #সৈয়দ #আলী #পঞ্চতন্ত্র #ভাষা #বন্দ্যোপাধ্যায় #bangladesh #bangla #bengali #dhaka #bangladeshi #bd #বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী

Last updated 2 years ago

যা কিছু সুন্দর ও স্মরণীয় ও স্বপ্নের মতো, তার সবই আমি দেখেছি ছেলেবেলায়, যখন আমি মেঘ-মাছ-পাখি-ঘেরা গ্রামে ছিলাম। তারপর যেই শহরে এলাম, চারপাশে দেখতে শুরু করলাম ছাইপাশ; তিন দশক ধ’রে যা দেখে দেখে চোখ দুটি একেবারে প’চে গেছে। এখন আর কিছুই দেখতে ইচ্ছে করে না। তাকালেই দেখি শয়তান ও ভাঁড়ের মুখ। আমার চোখ বোঝাই হয়ে গেছে আবর্জনায়; কেতুরের মতো দু-চোখ ভ’রে জ’মে উঠছে নগর, নেতা ও অভিনেত্রী। 




@bengali_convo

#লেখক #হুমাযূনআজাদ #বই #নিরবাচিতপরবনধ #বাংলা #বাংলাদেশ #bangla #bengali #emselimahmed

Last updated 3 years ago

EM Selim Ahmed :verified: · @emselimahmed
21 followers · 85 posts · Server tilde.zone
EM Selim Ahmed :verified: · @emselimahmed
19 followers · 77 posts · Server tilde.zone

বিংশ শতাব্দীর কাদা মাটি মেখে বড় হয়েছি ভূলে একবিংশ তে এসে পড়েছি। বই ই একমাত্র কাছের বন্ধু। 🤗

#bangla #bangladesh #হাবিজাবি #বাংলা #বাংলাদেশ #বাংলা_ভাষা #বাংলাযহযাসটযাগ #বই #বইপোকা #লেখক

Last updated 3 years ago

EM Selim Ahmed :verified: · @emselimahmed
19 followers · 75 posts · Server tilde.zone

⬅️ফোবিয়া - Phobia➡️

এর আগে বিষায়ক কোনো হয়নি। তাই rokomari.com থেকে ছোট্ট একটি বই অর্ডার করলাম। বইটির শুরুতে তার বিরল ফোবিয়ার কথা জানিয়েছেন। আর সেটি হলো । তিনি শুধুমাত্র তার মা কে ছাড়া অন্য কাউকে সম্পর্কের সম্বোধনে ডাকতে পারেন না। বিষয় আমার কাছে ইন্টারেস্টিং লেগেছে। তাই লিখতে বসলাম ফোবিয়া নিয়ে।

() শব্দের অর্থ হলো কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে বা কাজে আতঙ্ক কিংবা ভয় অনুভব করা। বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। হতে পারে সোশ্যাল ফোবিয়া, হতে পারে কোনো পোকামাকড়ে ফোবিয়া, হতে পারে উচ্চতা নিয়ে ফোবিয়া, হতে পারে কোনো শব্দে ফোবিয়া ইত্যাদি। আজকে আলোচনা করবো এমন অদ্ভুত কিছু ফোবিয়া নিয়ে যা নিয়ে আমাদের চারপাশের মানুষজন প্রতিনিয়ত করে চলেছেন। কিন্তু আপনি খেয়ালই করেনি। অথবা হতে পারে আপনার মাঝেও কিছু ফোবিয়া বিদ্যমান।

➡️ এব্লুশোফোবিয়া ( ) :
এই ফোবিয়াতে আক্রান্ত মানুষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বা এক কথায় তারা গোসলে অনাগ্রহী। এই ফোবিয়াটি বিশেষ করে মধ্যে দেখা যায়।

➡️ ব্যাক্টেরিয়াফোবিয়া ( ) :
এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত মানুষের মধ্যে ব্যাক্টেরিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে সর্বক্ষণ। তাই তারা অনেক বেশী পরিষ্কার পরিচ্ছন থাকে। যেকোনো নোংরা বা আবর্জনাযুক্ত স্থান তারা ত্যাগ করতে চায়। বারবার হাত ধোয়া, খাবার বা পানীয় শেয়ার করে না খাওয়া, পাবলিক টয়লেট ব্যবহার না করা ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ। বাংলায় একে বলা হয়।

➡️ গ্লসোফোবিয়া ( ):
গ্লসোফোবিয়া হলো জনসম্মুখে কথা বলায় জড়তা বা ভয় অনুভব করা। এই ফোবিয়া আমাদের অনেকের মধ্যেই বেশ লক্ষণীয়। এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৭৫ ভাগ। কথা বলতে গেলেই হাত পা কাঁপুনি, ঘামানো, হার্ট বিট বেড়ে যাওয়া, শরীরে বোধ করা, কথা জড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি এই ফোবিয়ার কারণে ঘটে থাকে।

➡️ আয়াট্রোফোবিয়া ( ):
আয়াট্রোফোবিয়া হলো ডাক্তারের কাছে যাওয়ার ভয় বা আতঙ্ক অনুভব করা। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা সহজে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে চাই না। এক প্রকার ভয় কাজ করে। এই ভয়ের নামই হলো আয়াট্রোফোবিয়া। এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি বা কোনো মারাত্মক অসুখে ভুগলেও ডাক্তারের কাছে যেতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে। যা পরবর্তীতে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত ইনজেকশনে ভয় পায়।

➡️ অফিডিওফোবিয়া ( ):
অফিডিওফোবিয়ার অর্থ সাপে ভয় পাওয়া। টিভিতে বা সাপের কোনো ছবি দেখলেই আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে পরিবর্তন দেখা যাবে।

➡️ মেলোফোবিয়া ( ):
দৈনন্দিন কাজের বাইরে শখ কি জানতে গেলে অন্তত ১০ জনে ৭ জন বলবে গান শোনা। কিন্তু এই গান বা সংগীত নিয়েও রয়েছে অনেকের । এই ভয়ের নামই হলো মেলোফোবিয়া। কোনো মেলডি বা তাদের প্রশান্তি নয় বরং অশান্তির কারণ হয়ে ওঠে।

➡️ তোনিত্রফোবিয়া ( – Latin):
বজ্রপাতে ভয়কেই বলে তোনিত্রফোবিয়া। তোনিত্র ( Tonitro) শব্দটি গ্রীক শব্দ। যার অর্থ বজ্রপাত।

➡️ ক্যাতসারিদোফোবিয়া ( ):
এই ফোবিয়াটি অত্যন্ত সাধারণ একটি ফোবিয়া। সাধারণ বলছি কারণ নারীসমাজে এই ফোবিয়ার বিস্তার বেশী। ক্যাতসারিদোফোবিয়া হলো তেলাপোকাতে ভয়। ক্যাতসারিদোফোবিয়া তে আক্রান্ত মানুষের মধ্যেও নিয়ে মারাত্মক ভয় কাজ করে। জীবন্ত পোকাটি সামনে না থাকলেও কেবল এটির ছবি দেখলেই এই ফোবিয়ায় আক্রান্তরা অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করেন।

➡️ ক্যালিজিনোফোবিয়া ( ):
এই ফোবিয়াতে আক্রান্ত হয় পুরুষেরা। কারণ ক্যালিজিনোফোবিয়া ফোবিয়া অর্থ হলো প্রতি ভয় অনুভব করা। অনেক সময় দেখা যায় কোনো সুন্দরী নারীকে পছন্দ করা সত্ত্বেও সাহস করে তাকে বলা যাচ্ছে না। কোনো এক অজানা ভয় কাজ করা শুরু করে তৎক্ষণাৎ। শুধু তাই নয়, কোনো সুন্দরী নারীকে প্রস্তাব দেওয়া দূরে থাক, তার সাথে সাধারণ কথোপকথন চালাতে গিয়েও বেগ পেতে হয় অনেককে। হাত-পা কাঁপুনি, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, ঠান্ডা আবহাওয়াতেও শরীরে ঘাম দেওয়া ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এই ফোবিয়া আক্রান্তদের।

➡️ ফবোফোবিয়া ( ):
ফোবিয়া নিয়েও অনেকের ফোবিয়া আছে। এই ফবোফোবিয়া আক্রান্তদের ধারণা তাদের মধ্যে বাসা বেঁধে আছে হাজারো । যেকোনো কাজেই তারা নতুন করে নিজেদের ফোবিয়া খুঁজে পায়। ফবোফোবিয়া তাদের স্বাভাবিক জীবযাপনকে ব্যাহত করে মারাত্মকভাবে। আক্রান্তরা সবসময় অশান্তিতে থাকে যার ফলে তাদের মেজাজ হয়ে যায়

(পড়া শেষ হলে বইয়ের রিভিউ দেওয়া হবে।)

বই:
লেখক:


@bengali_convo

#মনোসতাততবিক #বই #পডা #লেখক #সমবোধনের #ফোবিযা #phobia #জীবনধারণ #ablutophobia #বাচচাদের #bacteriophobia #শুচিবাযুগরসত #glossophobia #জনসমমুখে #অসুসথতা #iatrophobia #সারজারি #ophidiophobia #melophobia #ভয #সংগীত #tonitrophobia #katsaridaphobia #তেলাপোকা #caligynephobia #সুনদরী #নারীর #পরেমের #phobophobia #মানসিক #খিটখিটে #চিতত_লোচন #তানভীর_রাফি #bangla #বাংলা #emselimahmed #bangladesh #বাংলাযহযাসটযাগ #hashtaginbengali

Last updated 3 years ago

EM Selim Ahmed :verified: · @emselimahmed
19 followers · 75 posts · Server tilde.zone

⬅️ফোবিয়া - Phobia➡️

এর আগে বিষায়ক কোনো হয়নি। তাই rokomari.com থেকে ছোট্ট একটি বই অর্ডার করলাম। বইটির শুরুতে তার বিরল ফোবিয়ার কথা জানিয়েছেন। আর সেটি হলো । তিনি শুধুমাত্র তার মা কে ছাড়া অন্য কাউকে সম্পর্কের সম্বোধনে ডাকতে পারেন না। বিষয় আমার কাছে ইন্টারেস্টিং লেগেছে। তাই লিখতে বসলাম ফোবিয়া নিয়ে।

() শব্দের অর্থ হলো কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে বা কাজে আতঙ্ক কিংবা ভয় অনুভব করা। বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। হতে পারে সোশ্যাল ফোবিয়া, হতে পারে কোনো পোকামাকড়ে ফোবিয়া, হতে পারে উচ্চতা নিয়ে ফোবিয়া, হতে পারে কোনো শব্দে ফোবিয়া ইত্যাদি। আজকে আলোচনা করবো এমন অদ্ভুত কিছু ফোবিয়া নিয়ে যা নিয়ে আমাদের চারপাশের মানুষজন প্রতিনিয়ত করে চলেছেন। কিন্তু আপনি খেয়ালই করেনি। অথবা হতে পারে আপনার মাঝেও কিছু ফোবিয়া বিদ্যমান।

➡️ এব্লুশোফোবিয়া ( ) :
এই ফোবিয়াতে আক্রান্ত মানুষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বা এক কথায় তারা গোসলে অনাগ্রহী। এই ফোবিয়াটি বিশেষ করে মধ্যে দেখা যায়।

➡️ ব্যাক্টেরিয়াফোবিয়া ( ) :
এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত মানুষের মধ্যে ব্যাক্টেরিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে সর্বক্ষণ। তাই তারা অনেক বেশী পরিষ্কার পরিচ্ছন থাকে। যেকোনো নোংরা বা আবর্জনাযুক্ত স্থান তারা ত্যাগ করতে চায়। বারবার হাত ধোয়া, খাবার বা পানীয় শেয়ার করে না খাওয়া, পাবলিক টয়লেট ব্যবহার না করা ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ। বাংলায় একে বলা হয়।

➡️ গ্লসোফোবিয়া ( ):
গ্লসোফোবিয়া হলো জনসম্মুখে কথা বলায় জড়তা বা ভয় অনুভব করা। এই ফোবিয়া আমাদের অনেকের মধ্যেই বেশ লক্ষণীয়। এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৭৫ ভাগ। কথা বলতে গেলেই হাত পা কাঁপুনি, ঘামানো, হার্ট বিট বেড়ে যাওয়া, শরীরে বোধ করা, কথা জড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি এই ফোবিয়ার কারণে ঘটে থাকে।

➡️ আয়াট্রোফোবিয়া ( ):
আয়াট্রোফোবিয়া হলো ডাক্তারের কাছে যাওয়ার ভয় বা আতঙ্ক অনুভব করা। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা সহজে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে চাই না। এক প্রকার ভয় কাজ করে। এই ভয়ের নামই হলো আয়াট্রোফোবিয়া। এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি বা কোনো মারাত্মক অসুখে ভুগলেও ডাক্তারের কাছে যেতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে। যা পরবর্তীতে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত ইনজেকশনে ভয় পায়।

➡️ অফিডিওফোবিয়া ( ):
অফিডিওফোবিয়ার অর্থ সাপে ভয় পাওয়া। টিভিতে বা সাপের কোনো ছবি দেখলেই আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে পরিবর্তন দেখা যাবে।

➡️ মেলোফোবিয়া ( ):
দৈনন্দিন কাজের বাইরে শখ কি জানতে গেলে অন্তত ১০ জনে ৭ জন বলবে গান শোনা। কিন্তু এই গান বা সংগীত নিয়েও রয়েছে অনেকের । এই ভয়ের নামই হলো মেলোফোবিয়া। কোনো মেলডি বা তাদের প্রশান্তি নয় বরং অশান্তির কারণ হয়ে ওঠে।

➡️ তোনিত্রফোবিয়া ( – Latin):
বজ্রপাতে ভয়কেই বলে তোনিত্রফোবিয়া। তোনিত্র ( Tonitro) শব্দটি গ্রীক শব্দ। যার অর্থ বজ্রপাত।

➡️ ক্যাতসারিদোফোবিয়া ( ):
এই ফোবিয়াটি অত্যন্ত সাধারণ একটি ফোবিয়া। সাধারণ বলছি কারণ নারীসমাজে এই ফোবিয়ার বিস্তার বেশী। ক্যাতসারিদোফোবিয়া হলো তেলাপোকাতে ভয়। ক্যাতসারিদোফোবিয়া তে আক্রান্ত মানুষের মধ্যেও নিয়ে মারাত্মক ভয় কাজ করে। জীবন্ত পোকাটি সামনে না থাকলেও কেবল এটির ছবি দেখলেই এই ফোবিয়ায় আক্রান্তরা অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করেন।

➡️ ক্যালিজিনোফোবিয়া ( ):
এই ফোবিয়াতে আক্রান্ত হয় পুরুষেরা। কারণ ক্যালিজিনোফোবিয়া ফোবিয়া অর্থ হলো প্রতি ভয় অনুভব করা। অনেক সময় দেখা যায় কোনো সুন্দরী নারীকে পছন্দ করা সত্ত্বেও সাহস করে তাকে বলা যাচ্ছে না। কোনো এক অজানা ভয় কাজ করা শুরু করে তৎক্ষণাৎ। শুধু তাই নয়, কোনো সুন্দরী নারীকে প্রস্তাব দেওয়া দূরে থাক, তার সাথে সাধারণ কথোপকথন চালাতে গিয়েও বেগ পেতে হয় অনেককে। হাত-পা কাঁপুনি, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, ঠান্ডা আবহাওয়াতেও শরীরে ঘাম দেওয়া ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এই ফোবিয়া আক্রান্তদের।

➡️ ফবোফোবিয়া ( ):
ফোবিয়া নিয়েও অনেকের ফোবিয়া আছে। এই ফবোফোবিয়া আক্রান্তদের ধারণা তাদের মধ্যে বাসা বেঁধে আছে হাজারো । যেকোনো কাজেই তারা নতুন করে নিজেদের ফোবিয়া খুঁজে পায়। ফবোফোবিয়া তাদের স্বাভাবিক জীবযাপনকে ব্যাহত করে মারাত্মকভাবে। আক্রান্তরা সবসময় অশান্তিতে থাকে যার ফলে তাদের মেজাজ হয়ে যায়

(পড়া শেষ হলে বইয়ের রিভিউ দেওয়া হবে।)

বই:
লেখক:


@bengali_convo

#মনোসতাততবিক #বই #পডা #লেখক #সমবোধনের #ফোবিযা #phobia #জীবনধারণ #ablutophobia #বাচচাদের #bacteriophobia #শুচিবাযুগরসত #glossophobia #জনসমমুখে #অসুসথতা #iatrophobia #সারজারি #ophidiophobia #melophobia #ভয #সংগীত #tonitrophobia #katsaridaphobia #তেলাপোকা #caligynephobia #সুনদরী #নারীর #পরেমের #phobophobia #মানসিক #খিটখিটে #চিতত_লোচন #তানভীর_রাফি #bangla #বাংলা #emselimahmed #bangladesh #বাংলাযহযাসটযাগ #hashtaginbengali

Last updated 3 years ago

EM Selim Ahmed :verified: · @emselimahmed
19 followers · 75 posts · Server tilde.zone

⬅️ফোবিয়া - Phobia➡️
এর আগে বিষায়ক কোনো হয়নি। তাই https:///www.rokomari.com থেকে ছোট্ট একটি বই অর্ডার করলাম। বইটির শুরুতে তার বিরল ফোবিয়ার কথা জানিয়েছেন। আর সেটি হলো । তিনি শুধুমাত্র তার মা কে ছাড়া অন্য কাউকে সম্পর্কের সম্বোধনে ডাকতে পারেন না। বিষয় আমার কাছে ইন্টারেস্টিং লেগেছে। তাই লিখতে বসলাম ফোবিয়া নিয়ে।

() শব্দের অর্থ হলো কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে বা কাজে আতঙ্ক কিংবা ভয় অনুভব করা। বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। হতে পারে সোশ্যাল ফোবিয়া, হতে পারে কোনো পোকামাকড়ে ফোবিয়া, হতে পারে উচ্চতা নিয়ে ফোবিয়া, হতে পারে কোনো শব্দে ফোবিয়া ইত্যাদি। আজকে আলোচনা করবো এমন অদ্ভুত কিছু ফোবিয়া নিয়ে যা নিয়ে আমাদের চারপাশের মানুষজন প্রতিনিয়ত করে চলেছেন। কিন্তু আপনি খেয়ালই করেনি। অথবা হতে পারে আপনার মাঝেও কিছু ফোবিয়া বিদ্যমান।

➡️ এব্লুশোফোবিয়া ( ) :
এই ফোবিয়াতে আক্রান্ত মানুষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বা এক কথায় তারা গোসলে অনাগ্রহী। এই ফোবিয়াটি বিশেষ করে মধ্যে দেখা যায়।

➡️ ব্যাক্টেরিয়াফোবিয়া ( ) :
এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত মানুষের মধ্যে ব্যাক্টেরিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে সর্বক্ষণ। তাই তারা অনেক বেশী পরিষ্কার পরিচ্ছন থাকে। যেকোনো নোংরা বা আবর্জনাযুক্ত স্থান তারা ত্যাগ করতে চায়। বারবার হাত ধোয়া, খাবার বা পানীয় শেয়ার করে না খাওয়া, পাবলিক টয়লেট ব্যবহার না করা ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ। বাংলায় একে বলা হয়।

➡️ গ্লসোফোবিয়া ( ):
গ্লসোফোবিয়া হলো জনসম্মুখে কথা বলায় জড়তা বা ভয় অনুভব করা। এই ফোবিয়া আমাদের অনেকের মধ্যেই বেশ লক্ষণীয়। এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৭৫ ভাগ। কথা বলতে গেলেই হাত পা কাঁপুনি, ঘামানো, হার্ট বিট বেড়ে যাওয়া, শরীরে বোধ করা, কথা জড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি এই ফোবিয়ার কারণে ঘটে থাকে।

➡️ আয়াট্রোফোবিয়া ( ):
আয়াট্রোফোবিয়া হলো ডাক্তারের কাছে যাওয়ার ভয় বা আতঙ্ক অনুভব করা। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা সহজে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে চাই না। এক প্রকার ভয় কাজ করে। এই ভয়ের নামই হলো আয়াট্রোফোবিয়া। এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি বা কোনো মারাত্মক অসুখে ভুগলেও ডাক্তারের কাছে যেতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে। যা পরবর্তীতে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত ইনজেকশনে ভয় পায়।

➡️ অফিডিওফোবিয়া ( ):
অফিডিওফোবিয়ার অর্থ সাপে ভয় পাওয়া। টিভিতে বা সাপের কোনো ছবি দেখলেই আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে পরিবর্তন দেখা যাবে।

➡️ মেলোফোবিয়া ( ):
দৈনন্দিন কাজের বাইরে শখ কি জানতে গেলে অন্তত ১০ জনে ৭ জন বলবে গান শোনা। কিন্তু এই গান বা সংগীত নিয়েও রয়েছে অনেকের । এই ভয়ের নামই হলো মেলোফোবিয়া। কোনো মেলডি বা তাদের প্রশান্তি নয় বরং অশান্তির কারণ হয়ে ওঠে।

➡️ তোনিত্রফোবিয়া ( – Latin):
বজ্রপাতে ভয়কেই বলে তোনিত্রফোবিয়া। তোনিত্র ( Tonitro) শব্দটি গ্রীক শব্দ। যার অর্থ বজ্রপাত।

➡️ ক্যাতসারিদোফোবিয়া ( ):
এই ফোবিয়াটি অত্যন্ত সাধারণ একটি ফোবিয়া। সাধারণ বলছি কারণ নারীসমাজে এই ফোবিয়ার বিস্তার বেশী। ক্যাতসারিদোফোবিয়া হলো তেলাপোকাতে ভয়। ক্যাতসারিদোফোবিয়া তে আক্রান্ত মানুষের মধ্যেও নিয়ে মারাত্মক ভয় কাজ করে। জীবন্ত পোকাটি সামনে না থাকলেও কেবল এটির ছবি দেখলেই এই ফোবিয়ায় আক্রান্তরা অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করেন।

➡️ ক্যালিজিনোফোবিয়া ( ):
এই ফোবিয়াতে আক্রান্ত হয় পুরুষেরা। কারণ ক্যালিজিনোফোবিয়া ফোবিয়া অর্থ হলো প্রতি ভয় অনুভব করা। অনেক সময় দেখা যায় কোনো সুন্দরী নারীকে পছন্দ করা সত্ত্বেও সাহস করে তাকে বলা যাচ্ছে না। কোনো এক অজানা ভয় কাজ করা শুরু করে তৎক্ষণাৎ। শুধু তাই নয়, কোনো সুন্দরী নারীকে প্রস্তাব দেওয়া দূরে থাক, তার সাথে সাধারণ কথোপকথন চালাতে গিয়েও বেগ পেতে হয় অনেককে। হাত-পা কাঁপুনি, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, ঠান্ডা আবহাওয়াতেও শরীরে ঘাম দেওয়া ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এই ফোবিয়া আক্রান্তদের।

➡️ ফবোফোবিয়া ( ):
ফোবিয়া নিয়েও অনেকের ফোবিয়া আছে। এই ফবোফোবিয়া আক্রান্তদের ধারণা তাদের মধ্যে বাসা বেঁধে আছে হাজারো । যেকোনো কাজেই তারা নতুন করে নিজেদের ফোবিয়া খুঁজে পায়। ফবোফোবিয়া তাদের স্বাভাবিক জীবযাপনকে ব্যাহত করে মারাত্মকভাবে। আক্রান্তরা সবসময় অশান্তিতে থাকে যার ফলে তাদের মেজাজ হয়ে যায়

(পড়া শেষ হলে বইয়ের রিভিউ দেওয়া হবে।)

বই:
লেখক:


@bengali_convo​@a.gup.pe

#মনোসতাততবিক #বই #পডা #লেখক #সমবোধনের #ফোবিযা #phobia #জীবনধারণ #ablutophobia #বাচচাদের #bacteriophobia #শুচিবাযুগরসত #glossophobia #জনসমমুখে #অসুসথতা #iatrophobia #সারজারি #ophidiophobia #melophobia #ভয #সংগীত #tonitrophobia #katsaridaphobia #তেলাপোকা #caligynephobia #সুনদরী #নারীর #পরেমের #phobophobia #মানসিক #খিটখিটে #চিতত_লোচন #তানভীর_রাফি #bangla #বাংলা #emselimahmed #bangladesh #বাংলাযহযাসটযাগ #hashtaginbengali

Last updated 3 years ago

EM Selim Ahmed :verified: · @emselimahmed
19 followers · 75 posts · Server tilde.zone

⬅️ফোবিয়া - Phobia➡️
এর আগে বিষায়ক কোনো হয়নি। তাই https:///www.rokomari.com থেকে ছোট্ট একটি বই অর্ডার করলাম। বইটির শুরুতে তার বিরল ফোবিয়ার কথা জানিয়েছেন। আর সেটি হলো । তিনি শুধুমাত্র তার মা কে ছাড়া অন্য কাউকে সম্পর্কের সম্বোধনে ডাকতে পারেন না। বিষয় আমার কাছে ইন্টারেস্টিং লেগেছে। তাই লিখতে বসলাম ফোবিয়া নিয়ে।

() শব্দের অর্থ হলো কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে বা কাজে আতঙ্ক কিংবা ভয় অনুভব করা। বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। হতে পারে সোশ্যাল ফোবিয়া, হতে পারে কোনো পোকামাকড়ে ফোবিয়া, হতে পারে উচ্চতা নিয়ে ফোবিয়া, হতে পারে কোনো শব্দে ফোবিয়া ইত্যাদি। আজকে আলোচনা করবো এমন অদ্ভুত কিছু ফোবিয়া নিয়ে যা নিয়ে আমাদের চারপাশের মানুষজন প্রতিনিয়ত করে চলেছেন। কিন্তু আপনি খেয়ালই করেনি। অথবা হতে পারে আপনার মাঝেও কিছু ফোবিয়া বিদ্যমান।

➡️ এব্লুশোফোবিয়া ( ) :
এই ফোবিয়াতে আক্রান্ত মানুষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বা এক কথায় তারা গোসলে অনাগ্রহী। এই ফোবিয়াটি বিশেষ করে মধ্যে দেখা যায়।

➡️ ব্যাক্টেরিয়াফোবিয়া ( ) :
এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত মানুষের মধ্যে ব্যাক্টেরিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে সর্বক্ষণ। তাই তারা অনেক বেশী পরিষ্কার পরিচ্ছন থাকে। যেকোনো নোংরা বা আবর্জনাযুক্ত স্থান তারা ত্যাগ করতে চায়। বারবার হাত ধোয়া, খাবার বা পানীয় শেয়ার করে না খাওয়া, পাবলিক টয়লেট ব্যবহার না করা ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ। বাংলায় একে বলা হয়।

➡️ গ্লসোফোবিয়া ( ):
গ্লসোফোবিয়া হলো জনসম্মুখে কথা বলায় জড়তা বা ভয় অনুভব করা। এই ফোবিয়া আমাদের অনেকের মধ্যেই বেশ লক্ষণীয়। এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৭৫ ভাগ। কথা বলতে গেলেই হাত পা কাঁপুনি, ঘামানো, হার্ট বিট বেড়ে যাওয়া, শরীরে বোধ করা, কথা জড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি এই ফোবিয়ার কারণে ঘটে থাকে।

➡️ আয়াট্রোফোবিয়া ( ):
আয়াট্রোফোবিয়া হলো ডাক্তারের কাছে যাওয়ার ভয় বা আতঙ্ক অনুভব করা। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা সহজে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে চাই না। এক প্রকার ভয় কাজ করে। এই ভয়ের নামই হলো আয়াট্রোফোবিয়া। এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি বা কোনো মারাত্মক অসুখে ভুগলেও ডাক্তারের কাছে যেতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে। যা পরবর্তীতে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত ইনজেকশনে ভয় পায়।

➡️ অফিডিওফোবিয়া ( ):
অফিডিওফোবিয়ার অর্থ সাপে ভয় পাওয়া। টিভিতে বা সাপের কোনো ছবি দেখলেই আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে পরিবর্তন দেখা যাবে।

➡️ মেলোফোবিয়া ( ):
দৈনন্দিন কাজের বাইরে শখ কি জানতে গেলে অন্তত ১০ জনে ৭ জন বলবে গান শোনা। কিন্তু এই গান বা সংগীত নিয়েও রয়েছে অনেকের । এই ভয়ের নামই হলো মেলোফোবিয়া। কোনো মেলডি বা তাদের প্রশান্তি নয় বরং অশান্তির কারণ হয়ে ওঠে।

➡️ তোনিত্রফোবিয়া ( – Latin):
বজ্রপাতে ভয়কেই বলে তোনিত্রফোবিয়া। তোনিত্র ( Tonitro) শব্দটি গ্রীক শব্দ। যার অর্থ বজ্রপাত।

➡️ ক্যাতসারিদোফোবিয়া ( ):
এই ফোবিয়াটি অত্যন্ত সাধারণ একটি ফোবিয়া। সাধারণ বলছি কারণ নারীসমাজে এই ফোবিয়ার বিস্তার বেশী। ক্যাতসারিদোফোবিয়া হলো তেলাপোকাতে ভয়। ক্যাতসারিদোফোবিয়া তে আক্রান্ত মানুষের মধ্যেও নিয়ে মারাত্মক ভয় কাজ করে। জীবন্ত পোকাটি সামনে না থাকলেও কেবল এটির ছবি দেখলেই এই ফোবিয়ায় আক্রান্তরা অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করেন।

➡️ ক্যালিজিনোফোবিয়া ( ):
এই ফোবিয়াতে আক্রান্ত হয় পুরুষেরা। কারণ ক্যালিজিনোফোবিয়া ফোবিয়া অর্থ হলো প্রতি ভয় অনুভব করা। অনেক সময় দেখা যায় কোনো সুন্দরী নারীকে পছন্দ করা সত্ত্বেও সাহস করে তাকে বলা যাচ্ছে না। কোনো এক অজানা ভয় কাজ করা শুরু করে তৎক্ষণাৎ। শুধু তাই নয়, কোনো সুন্দরী নারীকে প্রস্তাব দেওয়া দূরে থাক, তার সাথে সাধারণ কথোপকথন চালাতে গিয়েও বেগ পেতে হয় অনেককে। হাত-পা কাঁপুনি, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, ঠান্ডা আবহাওয়াতেও শরীরে ঘাম দেওয়া ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এই ফোবিয়া আক্রান্তদের।

➡️ ফবোফোবিয়া ( ):
ফোবিয়া নিয়েও অনেকের ফোবিয়া আছে। এই ফবোফোবিয়া আক্রান্তদের ধারণা তাদের মধ্যে বাসা বেঁধে আছে হাজারো । যেকোনো কাজেই তারা নতুন করে নিজেদের ফোবিয়া খুঁজে পায়। ফবোফোবিয়া তাদের স্বাভাবিক জীবযাপনকে ব্যাহত করে মারাত্মকভাবে। আক্রান্তরা সবসময় অশান্তিতে থাকে যার ফলে তাদের মেজাজ হয়ে যায়

(পড়া শেষ হলে বইয়ের রিভিউ দেওয়া হবে।)

বই:
লেখক:


@bengali_convo​@a.gup.pe

#মনোসতাততবিক #বই #পডা #লেখক #সমবোধনের #ফোবিযা #phobia #জীবনধারণ #ablutophobia #বাচচাদের #bacteriophobia #শুচিবাযুগরসত #glossophobia #জনসমমুখে #অসুসথতা #iatrophobia #সারজারি #ophidiophobia #melophobia #ভয #সংগীত #tonitrophobia #katsaridaphobia #তেলাপোকা #caligynephobia #সুনদরী #নারীর #পরেমের #phobophobia #মানসিক #খিটখিটে #চিতত_লোচন #তানভীর_রাফি #bangla #বাংলা #emselimahmed #bangladesh #বাংলাযহযাসটযাগ #hashtaginbengali

Last updated 3 years ago