Bangladesh :verified:​ · @Bangladesh
77 followers · 140 posts · Server qoto.org

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ি নয়াবস্তি এলাকায়, ছোট একটা বাচ্চা উঠানে একাএকা আপন মনে খেলছে। বাচ্চাটি নতুন হাঁটা শিখেছে। দু' পা হেঁটেই পরে যাচ্ছে আবার উঠে দাড়াচ্ছে- আবার পড়ে যাচ্ছে। উঠা আর পড়ে যাওয়ার খেলা খেলে শিশুটি বেশ মজা পাচ্ছে। এই ফুটফুটে বাচ্চাটির ডাক নাম পুতুল। দেশ ভাগের দুই বছর আগে পুতুলের জন্ম। তিন বোন এবং দুই ভাইয়ের মধ্যে পুতুল তৃতীয়। তাদের বাবা ইস্কান্দর মজুমদার একজন ব্যবসায়ী। ইস্কান্দর মজুমদার ১৯১৯ সালে ফেনী থেকে জলপাইগুড়ি যান। পুতুলের স্কুল জীবন শুরু হয় পাঁচ বছর বয়সে দিনাজপুরের মিশন স্কুলে। এরপর দিনাজপুর গার্লস স্কুলে ভর্তি হন। এই স্কুল থেকেই অস্টম শ্রেনী পাশ করেন পুতুল।

১৯৬০ সালের আগস্ট মাসে পুতুলের বিয়ে হয়- নামের এক হাসি খুশি তরুনের সাথে। পুতুলের বয়স তখন সতের বছর বয়স। রহমানের ডাক নাম কমল। জিয়া তখন ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন। ডিএফআই এর অফিসার হিসাবে তখন দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন। পাঁচ ভাইদের মধ্যে ছিলেন দ্বিতীয়। তাঁর পিতা কলকাতা শহরে এক সরকারি দপ্তরে রসায়নবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর শৈশবের কিছুকাল বগুড়ার গ্রামে ও কিছুকাল কলকাতা শহরে অতিবাহিত হয়।

জিয়াউর রহমান পশ্চিম থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালে দেশে ফিরে আসার পর তাকে (তদানীন্তন মেজর) অষ্টম রেজিমেন্টের দ্বিতীয়- অধিনায়ক হিসেবে চট্টগ্রামে বদলি করা হয়। স্বভাবতই জনসাধারণের কাছে জিয়াউর রহমান নামটি অপরিচিত ছিল। কিন্তু তিনি একজন তাৎক্ষণিক জাতীয় ব্যক্তিত্বে রূপান্তরিত হলেন, যখন তিনি ১৯৭১ এর ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের বেতারকেন্দ্র থেকে রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের ঘোষণা করলেন।

তাঁর ঘোষণাটি ছিল এই রকমঃ ''আমি মেজর জিয়া, বাংলাদেশ লিবারেশন আর্মির অস্থায়ী সর্বাধিনায়ক, এতদ্বারা শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। ‘‘আমি আরও ঘোষণা করছি, আমরা ইতিমধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের অধীনে একটি সার্বভৌম ও বৈধ সরকার গঠন করেছি। এই সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় আইন এবং শাসনতন্ত্র মেনে চলায় অঙ্গীকারাবদ্ধ। নতুন গণতান্ত্রিক সরকার আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে জোট নিরপেক্ষ নীতির প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ। এ সরকার সকল দেশের সাথে বন্ধুত্বের প্রত্যাশী এবং আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য চেষ্টা করবে। আমি সকল সরকারের কাছে আবেদন করছি তারা যেন বাংলাদেশে নৃশংস গণহত্যার বিরুদ্ধে তাদের নিজ নিজ দেশে জনমত গড়ে তোলেন। ‘‘শেখ মুজিবুর রহমানের অধীনে গঠিত বাংলাদেশের সার্বভৌম ও বৈধ সরকার এবং এই সরকার পৃথিবীর সকল গণতান্ত্রিক দেশের স্বীকৃতি লাভের অধিকার সংরক্ষণ করে।’’

একটা কথা উল্লেখ করতে চাই, বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হিসেবে দলে যোগ দেবার পর থেকে মোট চার বার বেগম খালেদা জিয়া গ্রেফতার হন। সর্বশেষ তিনি ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে তার ৫ বছরের সশ্রম হয়। আমি সাধারণত সকল নারীকে সম্মান করি। হোক সে আমার বাসার বুয়া বা গার্মেন্সে চাকরী করা মেয়ে। অথবা শেখ কিংবা খালেদা জিয়া। আমি এক অফিসে চাকরী করতাম। সেই অফিসে এক মহিলা আমার চাকরী খেয়ে ফেলেছে। সেই মহিলার প্রতি আমার কোনো রাগ নেই। এই সমাজে বহু দুষ্ট নারী আছে। তাঁরা নানান রকম অপরাধ করে। তবু আমি এদের উপ রাগ করি না। আমি বিশ্বাস করি নারীরা হচ্ছে ধরনী। তাদের মাঝেই আমাদের বসবাস। তাঁরা না বুঝেই অনেক রকম ভুল করে ফেলে, অনেক রকম অন্যায় করে ফেলে।

আমাদের পাশের বাসার এক মহিলা তার শ্বাশুড়িকে ঝাড়ু দিয়ে মারতে গিয়েছিলো। ঘটনাটা সংক্ষেপে খুলে বলি। রুবি ভাবী শিক্ষিত মানুষ এবং আধুনিক। হঠাত করে একদিন রুভি ভাবী খুব ধার্মিক হয়ে যায়। আগের মতো গান বাজনা নিয়ে মেতে থাকেন না। জন্মদিন পালন করেন না। সারাক্ষণ ধর্মকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আমি ভাবিকে কোনোদিন দেখি নাই, তারা স্বামীকে সালাম দিতে। এখন ভাবী প্রতিদিন তার স্বামী অফিস থেকে ফিরলেই সালাম দেন। এমনকি স্বামীর সাথে ফোনে কথার বলার সময়ও সালাম দেন। কিন্তু আগে দিতেন না। যাইহোক, সালাম দেওয়া ভালো। কিন্তু আমি জানি যারা হঠাত করে খুব ধার্মিক হয়ে যায়, তাঁরা ভয়ঙ্কর হয়ে যায়। রুবি ভাবী আমার সামনেও হিজাব পড়েন। একসময় এই রুবি ভাবী আর আমি অনেক আড্ডা দিয়েছি।

রুবি ভাবীর শ্বাশুড়ি অন্যান্য শ্বাশুড়িদের মতোই। একদিন এই ধার্মিক রুবি ভাবীকে দেখি ঝড়ু দিয়ে শ্বাশুড়িকে মারতে যাচ্ছেন। আমি সামনে গিয়ে দাঁড়াই। ভাবীর হাত থেকে ঝাড়ু কেড়ে নিই। শ্বাশড়ি সমানে মুখ খারাপ করে কথা বলে যাচ্ছে। রুবি ভাবীও সমানে মুখ খারাপ করে কথা বলে যাচ্ছে। আমি দুজনেরর কাউকেই থামাতে পারছি না। তাঁরা দুজনেই নারী। আমি তাদের সম্মান করি। আপন কফি হাউজের সামনে যে মহিলাটা রাস্তার মোড়ে তার তিন বছরের বাচ্চাকে নিয়ে রাস্তায় চা সিগারেট বিক্রি করে। আড়ালে ইয়াবা বিক্রি করে- আমি সেই দরিদ্র অসহায় মহিলাকেও সম্মান করি। আমি একা ভালো থাকতে চাই। আমি সকলকে নিয়ে ভালো থাকতে চাই। নারীরা আপনাতেই খারাপ হয়ে যায় না। এজন্য দায়ী পুরুষরা।

নারীদের এমনিতেই দুঃখ কষ্টের শেষ নেই। বিশেষ করে দরিদ্র দেশের মেয়েরা খুব দুঃখী হয়। তাঁরা ভাতে দুঃখী, কাপড়ে দুঃখী। প্রেম ভালোবাসায় দুঃখী। স্বামী দিয়ে দুঃখী। ছেলেমেয়ে দিয়ে দুঃখী। ধর্ম নারীদের কোনঠাসা করে রেখেছে। নারীদের দুঃখের শেষ নেই। তাই নারীদের আমি দুঃখ দিতে চাই না। অসম্মান করতে চা না। তাদের সম্মান করতে চাই। ভালোবাসতে চাই। হোক সে রাজনীতিবিদ খালেদা বা হাসিনা। রুবি ভাবী অথবা তার শ্বাশুড়ি। আমাদের বাসায় কাজ করে যে বুয়া তাকেও আমি সম্মান করি। আমি চাই পৃথিবীর সমস্ত নারীরা ভালো থাকুক, সুখে থাকুক, আনন্দে থাকুক। মায়ের পেট থেকে একটা অবুঝ নাদান শিশুর জন্ম হয়। তার কোনো পাপ নেই। এই সমাজ তাকে মন্দ বানায়। লোভী বানায়। চতুর বানায়। বদমাশ বানায়।

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

#রহমান #জার্মানি #বঙ্গবন্ধু #শেখ #মুজিবুর #স্বাধীনতা #সরকার #bengali #dhaka #বাংলা #ঢাকা #কমল #জিয়াউর #ইস্ট #বেঙ্গল #কালুরঘাট #কারাদণ্ড #হাসিনা #bangladesh #bangla #বাংলাদেশী #bangladeshi #kolkata #বাংলাদেশ #বাঙালী #কলকাতা

Last updated 2 years ago

Bangladesh :verified:​ · @Bangladesh
57 followers · 108 posts · Server qoto.org

ঢাকার রসায়নের শিক্ষক সঞ্জিত কুমার গুহ। ১৬ এর আগের দিন ক্লাসে সবাই খুশি কারণ এর পর দিন বন্ধ….তো গুহ স্যার বললেন,"তোমরা সবাই খুশি কালকে কলেজ বন্ধ তাই না?তোমাদের একটা ঘটনা বলি। তো অনেক মেয়ে ধর্ষিত হয়েছিলো তাই না?আমার খুব কাছের একজনকে সেনারা করে ও মেয়েটি এর পরেরদিন আত্মহত্যা করে মারা যায়।জানো মেয়েটি কে?মেয়েটি আমার বোন আমার নিজের ।আমি আমার বোনের চেয়ে অপূর্ব মেয়ে জীবনে কোনোদিন দেখিনি।সেই থেকে আমার পরিবার কোনোদিন ১৬ ই ডিসেম্বর পালন করিনি।বাদ দেও এসব কথা এই যে লাস্ট বেঞ্চ মিডেল ম্যান বলো সোডিয়াম ক্লোরাইড এর কেপি কেসির মান কতো,কুইক।"

একটি প্রশিক্ষিত কিভাবে সবার সামনে ধর্ষণ করে, তাও আবার দল বেধে?

তোর হাতে একটা থাকলে তুইও করতি।

পাকিস্তানিগো ধর্ষণে বাধা দিতে গেলেই গুলি কইরা খুন।

আমরা বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের কাছে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতম কর্মকাণ্ডের কথা শুনি👇

১। স্বাধীনতার পর ধর্ষিতা মহিলাদের চিকিৎসায় নিয়োজিত অস্ট্রেলীয় ডাক্তার জেফ্রি ডেভিস গণ-ধর্ষণের ভয়াবহ মাত্রা দেখে হতবাক হয়ে ক্যান্টনমেন্টে আটক পাক অফিসারকে জেরা করেছিলেন যে তারা কিভাবে এমন ঘৃণ্য কাজ-কারবার করেছিলো। অস্ট্রেলীয় চিকিৎসক বিচলিত হলেও পাক অফিসারদের সাচ্চা হৃদয়ে কোন রকম রেখাপাত ঘটেনি। তাদের সরল জবাব ছিল,“আমাদের কাছে টিক্কা খানের নির্দেশনা ছিল যে একজন ভালো মুসলমান কখনই তার বাবার সাথে যুদ্ধ করবে না। তাই আমাদের যত বেশী সম্ভব বাঙালী মেয়েদের করে যেতে হবে।”“We had orders from Tikka Khan to the effect that a good Muslim will fight anybody except his father. So what we had to do was to impregnate as many Bengali women as we could.”

২। ধর্ষণে লিপ্ত এক পাকিস্তানী মেজর তার বন্ধুকে লিখেছে;“আমাদের এসব উ-শৃঙ্খল মেয়েদের পরিবর্তন করতে হবে যাতে এদের পরবর্তী প্রজন্মে পরিবর্তন আসে, তারা যেন হয়ে ওঠে ভালো এবং ভালো ”“We must tame the Bengali tigress and change the next generation Change to better Muslims and Pakistanis”(Tikka khan, one of the leading general of Pakistan on 1971.)

৩। একাত্তরের সেপ্টেম্বরে পূর্ব পাকিস্তানের সকল ডিভিশান কমান্ডারের কনফারেন্সে এক অফিসার তুলছিল পাকিস্তানী কর্তৃক বাঙ্গালী নারীদের ধর্ষণের প্রসঙ্গ । তখন সেই অফিসারকে বলেন, “আমরা যুদ্ধের মধ্যে আছি। যুদ্ধক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনাকে স্বাভাবিক বলে ধরে নিও।” তারপর তিনি হেসে বলেন, “ভালই তো এসব বাঙ্গালী রক্তে রক্ত মিশিয়ে তাদের জাত করে দাও।”September 1971, in a conference of Pakistan army, an officer told to general Niazi about the mass rape done by the Pakistan army. General Niazi told to that officer-
“We are in war now, and in war it is normal”
Then he smiled and said-
“Isn’t it good?”এই ধর্ষণের পক্ষে তিনি যুক্তি দিয়ে বলতেন,-“আপনারা কি ভাবে আশা করেন একজন সৈন্য থাকবে, যুদ্ধ করবে, মারা যাবে পূর্ব পাকিস্তানে এবং যৌন ক্ষুধা মেঠাতে যাবে ঝিলমে(পতিতালয়ে)?”

৪।পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার আবদুল রহমান সিদ্দিকী তার East Pakistan The Endgame বইতে আরও লেখেন- “নিয়াজী জওয়ানদের অ-সৈনিকসুলভ, অনৈতিক এবং কামাসক্তিমূলক কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করতেন। ‘গত রাতে তোমার অর্জন কি শেরা (বাঘ)?’ চোখে শয়তানের দীপ্তি নিয়ে জিজ্ঞেস করতেন তিনি। অর্জন বলতে তিনি ধর্ষণকে বোঝাতেন।

৫।পাকিস্তানী খাদিম হুসাইন রাজা “অ্যা স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি” বইতে লিখেছেন, নিয়াজী ধর্ষণে তার সেনাদের এতই চাপ দিতেন যে তা সামলে উঠতে না পেরে এক বাঙালি সেনা অফিসার নিজে করেন। এখানেই শেষ নয়👇“বেগ সাহেবের জন্য ভালো মাল পাঠাবেন। রোজ অন্তত একটা।” মাল বলতে এখানে বাঙালী মেয়েদের কথা বলা হয়েছে।

৬।সিলেটের শালুটিকরে পাকিস্তানী ক্যাম্পের দেয়ালে পাকি সৈন্যদের আঁকা ছবিটি দেখুন (Mastodon not allow more picture.)

৭।ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির গ্রন্থ “যুদ্ধ ও নারী”-তে উঠে আসে অনেক তথ্য যা পাঠকদের নিঃসন্দেহে আগ্রহ জোগাবে।
এক. “যুদ্ধ শেষে ক্যাম্প থেকে কয়েকটি কাঁচের জার উদ্ধার করা হয়,যার মধ্যে ফরমালিনে সংরক্ষিত ছিল শরীরের বিভিন্ন অংশ। অংশগুলো কাটা হয়ে ছিল খুব নিখুঁতভাবে।”- ডাঃ বিকাশ চক্রবর্তী, খুলনা।

দুই. এরপর তারা আমাদের সব মেয়েকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে লাইন করে দাঁড় করাল। আমাদের বাচ্চারা , কান্নাকাটি করছিল। এই পরিস্থিতিতে আর্মিরা বলল, তাদের রাজি না হলে বাচ্চাদের পা ধরে ছিঁড়ে ফেলবে…।-জোহরা, ছাতনী (দত্তের বাগান), নাটোর।

তিন. মেয়েরা চিৎকার করে আমাদের বলতেন ‘আমরা তো মরে যাব, আপনারা যদি কেউ বেঁচে যান তাহলে আমাদের কথা আমাদের বাড়িতে গিয়ে বলবেন।’…

চার.পাকিদের নির্যাতনের ধরন ছিল বীভৎস। তারা মেয়েদের স্তন কেটে ফেলত, যৌনাঙ্গে রাইফেল ঢুকিয়ে করত; এমনভাবে নির্যাতন করত যে সে প্রক্রিয়া আমি ভাষায় বর্ণনা করতে পারছি না, এসব আমি নিজের চোখে দেখেছি।-মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম আবু ইউসুফ,

পাঁচ. পাকি বর্বরেরা প্রত্যেক মহিলাকে অবর্ণনীয় কষ্ট ও যন্ত্রণা দিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর তাদের হত্যা করে। ধোপা যেভাবে কাপড় কাচে সেভাবে রেললাইনের ওপর মাথা আছড়ে, কখনও দু’পা ধরে টান দিয়ে ছিঁড়ে দু’টুকরা করে হত্যা করেছে শিশুদের। স্বাধীনতার অনেকদিন পরেও সেখানে মহিলাদের , ক্লিপ, চুল, চুলের খোঁপা ইত্যাদি পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেখান থেকে আমি আমার ছোট বোনের ফ্রকের এক টুকরো কাপড় খুঁজে পাই।-বিনোদ কুমার, নীলফামারী।

ছয়. আমাদের পাশের বাড়ির একটি মেয়ে। সদ্য হয়েছে, আট দিনের বাচ্চা কোলে। ঐ সময় সে বাচ্চাটিকে দুধ খাওয়াচ্ছিল। এমন সময় বাড়িতে আক্রমণ। ঘরে তখন কেউ ছিল না। এরপর যা হবার তাই হল, মেয়েটির উপর চলল অমানুষিক নির্যাতন। এরমধ্যেই দুপুর গড়িয়ে এল, পাকিরা খাবার খেতে চাইল। ঘরে কিছু না থাকায় ক্ষেত থেকে বেগুণ এনে দিতে বলল। ভীত মেয়েটি ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। মেয়েটির আসতে দেরি হচ্ছিলো দেখে পাকিরা তার বাচ্চাকে গরম ভাতের হাঁড়িতে ছুঁড়ে দিয়ে ঘর থেকে নেমে গেল। -ভানু বেগম, ছাব্বিশা, ভূয়াপুর, টাঙ্গাইল।

সাত. “মার্চে মিরপুরের একটি বাড়ি থেকে পরিবারের সবাইকে ধরে আনা হয় এবং কাপড় বলা হয়। তারা এতে রাজি না হলে বাবা ও ছেলেকে আদেশ করা হয় যথাক্রমে মেয়ে এবং মাকে ধর্ষণ করতে। এতেও রাজি না হলে প্রথমে বাবা এবং ছেলে কে টুকরো টুকরো করে করা হয় এবং মা মেয়ে দুজনকে দুজনের চুলের সাথে বেঁধে অবস্থায় টানতে টানতে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।” -মোঃ নুরুল ইসলাম, বাটিয়ামারা কুমারখালি।

আট. “আমাদের সংস্থায় আসা ধর্ষিত নারীদের প্রায় সবারই ছিল ক্ষত-বিক্ষত যৌনাঙ্গ। বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ছিঁড়ে ফেলা রক্তাক্ত যোনিপথ, দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে ফেলা , বেয়োনেট দিয়ে কেটে ফেলা স্তন-উরু এবং পশ্চাৎদেশে ছুরির আঘাত নিয়ে নারীরা পুনর্বাসন কেন্দ্রে আসতো।”-মালেকা খান, যুদ্ধের পর পুনর্বাসন সংস্থায় ধর্ষিতাদের নিবন্ধীকরণে যুক্ত সমাজকর্মী।

নয়. “১৮ ডিসেম্বর নিখোঁজ হয়ে যাওয়া একজনকে খুঁজতে গিয়ে দেখি মাটির নিচে বাঙ্কার থেকে ২৩জুন সম্পূর্ণ উলঙ্গ, মাথা কামানো নারীকে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছে পাক আর্মিরা।”-বিচারপতি এম এ সোবহান।

দশ. “ পর পর ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে উদ্বাস্তুর মতো ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে বেশ কিছু নারীকে। তাদের পোশাক এবং চলাফেরা থেকে আমরা অনেকেই নিশ্চিত জানতাম ওরা যুদ্ধের শিকার এবং ওদের যাওয়ার কোন জায়গা নেই।”-ড. রতন লাল চক্রবর্তী, অধ্যাপক ইতিহাস বিভাগ ঢাকা

এগারো. “কোন কোন মেয়েকে পাকসেনারা এক রাতে ৮০ বারও ধর্ষণ করেছে।”-সুসান ব্রাউনি মিলার, গবেষক।

৮। খুলনার একটি থেকে যখন কাচের জারে ফরমালিনে সংরক্ষিত ছিল মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন অংশ পাওয়া যায় খুব নিখুঁতভাবে কাঁটা। যখন সিলেটের দেয়ালে ধর্ষকেরা সদম্ভে এঁকে রেখে যায় নিজেদের কৃতকর্ম, তখন বুঝে নিতে হয় এই দু’একজন সামরিক কর্মকর্তার বিচ্ছিন্ন মনোরঞ্জন নয়। তখন বুঝতে হয় তারা এসব করেছিলো একটা এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে, আর সেই এজেন্ডার কথা সৈয়দ সামসুল হক তার কালজয়ী নিষিদ্ধ উপন্যাসে লিখেছেন সবচেয়ে সুন্দর করে।

৯।"আমি তোমায় সন্তান দিতে পারব। উত্তম বীজ উত্তম ফসল। তোমার সন্তান খাঁটি মুসলমান হবে, খোদার ওপর ইমান রাখবে, আন্তরিক পাকিস্তানী হবে, চাওনা সেই সন্তান? আমরা সেই সন্তান তোমাদের দেব, তোমাকে দেব, তোমার বোনকে দেব, তোমার মাকে দেব, যারা হিন্দু নয়, বিশ্বাসঘাতক নয়, অবাধ্য নয়, আন্দোলন করে না, শ্লোগান দেয় না, কমিউনিস্ট হয় না। জাতির এই খেদমত আমরা করতে এসেছি। তোমাদের রক্ত শুদ্ধ করে দিয়ে যাব, তোমাদের গর্ভে খাঁটি পাকিস্তানী রেখে যাব, ইসলামের নিশানা উড়িয়ে যাব। তোমরা কৃতজ্ঞ থাকবে, তোমরা আমাদের পথের দিকে তাকিয়ে থাকবে, তোমরা আমাদের সুললিত গান শোনাবে।”- নিষিদ্ধ লোবান, সৈয়দ শামসুল হক,সূত্র:জেনারেল খাদিম হুসাইন রাজা: অ্যা স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি

এই সব খণ্ড খণ্ড জবানবন্দী এই কথাই প্রমাণ করে যে মুক্তিযুদ্ধের সময় ধর্ষণ সাধারণ কোন যুদ্ধের ধর্ষণ নয়। শুধু ধর্ষণের জন্য বেয়নেট দিয়ে যোনি পথ খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করতে হয় না, দাঁত দিয়ে স্তন ছিঁড়ে ফেলতে হয় না, দু দিক থেকে পা টেনে চিঁরে ফেলতে হয় না।
আজ পর্যন্ত ১৯৭১ সালের কর্মকান্ডের জন্য চেয়েছে?

হিটলারের কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়েছে,জার্মানিতে হিটলারের স্যালুট দেবার পদ্ধতি এখন আইনত দন্ডনীয়।

কিন্তু পাকিস্তান গত ৫০ বছরে একবারও কেন ক্ষমা চায়নি বাংলাদেশের কাছে?

কেন পাকিস্তান এখনো ১৯৭১ সালের গণহত্যার স্বীকৃতি দেয়নি?

কেন পাকিস্তানের পাঠ্যপুস্তকে ১৯৭১ সালে বাঙালিদের উপর চালানো ও ধর্ষণের কথা অন্তর্ভুক্ত করেনি?

আর আপনার মায়ের যোনিতে কেউ ছুরি ঢুকিয়ে খুন করলে কি আপনি তাদের ক্ষমা করার বিষয়টি বিবেচনা করতেন?

আপনার মায়ের স্তন কেউ টেনে ছিড়ে ফেললে তাকে ক্ষমা করতেন?

আপনার মায়ের পাছার মাংস কেউ ছুরি দিয়ে কাটলে তাকে ক্ষমা করতেন?

আমরা কখনো এই পাকি জাতি কে ক্ষমা করবো না।


@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:

#মুক্তিযুদ্ধে #ধর্ষণ #বোন #দেশের #পিস্তল #বাঙালী #কুমিল্লা #ধার্মিক #গর্ভবতী #চিঠি #মুসলিম #পাকিস্তানী #সেনা #নিয়াজী #পাঞ্জাবী #উন্নত #জেনারেল #আত্মহত্যা #ক্ষমা #FuckPakiPeople #bangla #চিৎকার #নটরডেম #মা #খুলতে #হত্যা #উলঙ্গ #মিরপুরে #বিশ্ববিদ্যালয় #ক্যাম্প #লোবান #সরকার #HatePakistaniPeople #bengali #dhaka #bangladeshi #kolkata #বাংলাদেশ #বাংলা #ঢাকা #কলকাতা #কলেজ #ডিসেম্বর #পাকিস্তান #গুলি #কাপড় #সেনাবাহিনী #মেয়েদের #প্রস্তাবে #ধর্ষিতা #ফরিদপুর #স্তন #যুদ্ধের #জার্মানি #HatePakistaniRaper #bangladesh #বাংলাদেশী

Last updated 2 years ago